কক্সবাজার প্রতিনিধি::
কক্সবাজারের মহেশখালী থানার দালাল খ্যাত জনৈক তারেকের অত্যচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ। পেশাদার এ দালালের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে নিরীহ জনতা। তার খপ্পড়ে পড়ে অসংখ্য নিরীহ মানুষ মিথ্যা মামলায় আসামি হয়ে সর্বশান্ত হয়েছে বলে একাধিক অভিযোগ ভূক্তভোগীদের।
সাধারণ মানুষের অভিযোগ, এ যুবক কখনো সাংবাদিক, কখনো পুলিশ অফিসার, কখনো রাজনৈতিক নেতা আবার কখনো গোয়ান্দা সংস্থার বড় অফিসার পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। যার ফলে উক্ত যুবক দ্বারা সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়িত প্রতারিত হলেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা সংশ্লিষ্টদের কাছে। তার অদৃশ্যে ও আকাশচুম্বি ক্ষমতা নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে একটিই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে আসলে তাঁর ক্ষমতার উৎস কোথায়। তাঁর ইচ্ছে ও অলিখিত নির্দেশ ছাড়া মহেশখালী থানায় কোন কাজ করা যায় না বলে একাধিক ভুক্তভোগী জানিয়েছেন।
অভিযোগ উঠেছে, দালাল খ্যাত এ যুবক মন্ত্রী, এমপি কিংবা রাজনৈতিক দলের কোন নেতা নন, নন কোন শিল্পপতি বা সরকারি কর্মকর্তা। তাঁর একটিই পরিচয় সে মহেশখালী থানার পেশাদার দালাল। আর ওই একটি পরিচয় তাকে করেছে সম্রাট, অসীম ও আকাশচুম্বি ক্ষমতার মালিক। তাঁর অদৃশ্যে ক্ষমতার কাছে সবকিছুই তুচ্ছ, সে ইচ্ছে করলে দিনকে রাত ও রাতকে দিন বানাতে পারে। ইচ্ছে করলে মাদকসেবী ও দুধর্ষ সন্ত্রাসীকে বাঁচাতে পারে আবার ইচ্ছে করলে নিরিহ সাধারণ মানুষকে যে কোন মামলায় ফাঁসাতে পারে। কিন্তু তাঁর অদৃশ্যে ক্ষমতার দাপট কমে না।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, তাঁর পিতাও এক সময়ের পেশাদার থানার দালাল ছিল। পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া এ পেশা নিয়ে জনৈক তারেক এখন শাহেন-শাহ। তার সাথে রয়েছে মহেশখালী থানার সেকন্ডে অফিসার, ওসি (তদন্ত) ও ওসি’র উঠা-বসা। পুলিশের এ ক্ষমতা ব্যবহার করে উক্ত যুবক মাদক ও পতিতা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের। কিন্তু অদৃশ্যে ক্ষমতার এ যুবক পুলিশের চোখে এখনও ভালো লোক।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত তারেকের সাথে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযেগ করা হলে সে জানায়, আমি এখনো থানায় আমার সাথে মহেশখালী থানার সেকেন্ড অফিসার ও ওসি (তদন্ত) রয়েছেন। কথা বলবেন পুলিশের সাথে? এ প্রতিবেদক পুলিশের সাথে কথা বলতে চাইলে সে তার মোবাইল সংযোগ বিছিন্ন করে দেয়।
এ বিষয়ে মহেশখালী থানার ওসি (তদন্ত) শফিকুল আলম’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তারেক নামের এক যুবক সাংবাদিক হিসেবে থানায় আসে। আমার সাথে তার সাথে সাংবাদিক পুলিশ সম্পর্ক। তবে সে এ সম্পর্ক ব্যবহার করে অনৈতিক সুবিধার অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মহেশখালী প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সালামত উল্লাহ জানান, তারেক নামের কোন সাংবাদিককে আমি চিনি না। এ নামের কোন ব্যাক্তি প্রেস ক্লাবের সদস্য নেই।
এব্যাপারে জানতে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদ্ধীপ কুমার দাশ’র ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে মোবাইল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফের আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এবার ক্যাম্প-৪ ডাব্লিউতে পুড়ে গেছে তিনটি ...
পাঠকের মতামত